বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে । মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে একথা বললেন বিশ্ববিদ্যালয়টির আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সমাবর্তন হয়।
এ সময় আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানোকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দায়িত্ব হলেও সৃজনশীলতা ও স্বাধীন চিন্তার কেন্দ্রস্থল হিসেবেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে জ্ঞানের পরিধি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এ মাত্রাকে আরও বেগবান করেছে। তাই উচ্চশিক্ষার পাদপীঠ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আধুনিক ও সর্বশেষ উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্ঞান বিস্তারে উদ্যোগী হতে হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ইউকিয়া আমানোর হাতে সম্মানসূচক ডিগ্রির একটি স্মারক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রেস্ট তুলে দেন। সম্মানসূচক ডিগ্রি নেয়ার পর ‘শান্তি ও উন্নয়নে পারমাণবিক শক্তি’ শীর্ষক সমাবর্তন বক্তব্য দেন ইউকিয়া আমানো। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এরইমধ্যে আইএইএর শিক্ষা নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে অনেক বেশি নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়। এখানকার শিক্ষার্থীরা যেন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পে কাজ করতে পারে, সে জন্য তাদের সহযোগিতা করা হবে।
জাপানের কূটনীতিক ইউকিয়া আমানো ২০০৯ সাল থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার মহাপরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৯৫৭ সালে ভিয়েনাভিত্তিক এ আন্তসরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ বক্তব্য দেন। সম্মানসূচক ডিগ্রি দেয়ার পর ইউকিয়ার সই সংগ্রহ করেন সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
অতিথিরা শোভাযাত্রা করে সিনেট ভবনে প্রবেশের পর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদগুলোর ডিন, কূটনীতিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এপি
